' আরশি ' শব্দের অর্থ আয়না। কিন্তু লালন তাঁর গানে ' আরশিনগর ' বলতে মনকে বুঝিয়েছেন। কারণ, মনের মধ্যেই চারপাশের জগৎ প্রতিফলিত হয়। সেখানে কবি এক পড়শির অস্তিত্বকে খুঁজে পেয়েছেন ।এই পড়শিই হলো বাউল সাধনার ঈশ্বর, যাঁকে তাঁরা ' মনের মানুষ ' বলে মনে করেন। কিন্তু বাউল সাধনায় এই পড়শির সন্ধান পাওয়া বা তাঁকে লাভ করা খুব সহজ নয়। তিনি যেখানে আছেন,তার চারপাশে আছে অতি গভীর জলরাশি। কবি মানুষের জাগতিক আশা - আকাঙ্খা ও বিষয় বাসনা ইত্যাদিকে এই জলরাশির প্রতীক দ্বারা বোঝাতে চেয়েছেন।সেই পড়শির কাছে যাওয়ার উপযুক্ত কোনো তরণি বা উপায়ও আবার নেই। তার থেকেও বড়ো কথা, এই পড়শি বা আত্ম তত্ত্ব - এর কোনো স্পষ্ট চেহারা হয় না, কারণ পড়শির হাত - পা - কাঁধ - মাথা কিছুই নেই। অর্থাৎ ,বাউলদের ঈশ্বর যে নিরাকার এ কথার মধ্যে দিয়ে লালন তাই বোঝাতে চেয়েছেন। অতএব সেই ' পড়শি ' শুধুই উপলব্ধির জগতে অবস্থান করেন। তাঁকে কখনও বোঝা যায়,কখনও বোঝা যায় না। অথচ তাঁর সন্ধান পেলেই মানুষের সব জীবন যন্ত্রণার অবসান ঘটত। কিন্তু তার সঙ্গে যে দূরত্ব টা ঘোচার নয়, কবির কথায় সে হল লক্ষ যোজন দূরত্ব। মানু...